সামাজিক ব্যবসার লক্ষ্যে ডাইরেক্ট ফ্রেশ যুক্ত হচ্ছে কৃষি উত্পাদ
সামাজিক ব্যবসার লক্ষ্যে ডাইরেক্ট ফ্রেশ যুক্ত হচ্ছে কৃষি উত্পাদনে
ইত্তেফাক রিপোর্ট১৯ জুলাই, ২০১৬ ইং
কৃষি জমিতে কী ধরনের ও কী পরিমাণ সার প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করতে মাটি পরীক্ষায় বিশেষ ধরনের প্রযুক্তি সহায়তা দিবে ডাইরেক্ট ফ্রেশ। সামাজিক ব্যবসা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গ্রামীণ ইন্টেল এর যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ডাইরেক্ট ফ্রেশ ইতিমধ্যে মানিকগঞ্জের ৯শ’ কৃষকের মধ্যে এ কার্যক্রম শুরু করে ভালো সাড়া পেয়েছে। এছাড়া সবজি উত্পাদন ও গাভী পালনেও একইভাবে সহায়তা দিবে ডাইরেক্ট ফ্রেশ নামক এ সামাজিক ব্যবসা কার্যক্রম। এ উদ্যোগকে টেকসই করতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা মডেলের (এনজিও) বাইরে এসে মূলত মুনাফা’র ভিত্তিতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সাধারণত বাংলাদেশের কৃষি জমিতে অতিরিক্ত সার প্রয়োগের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। কৃষকদের ধারণা, অতিরিক্ত সার প্রয়োগে বাড়তি ফলন হয়। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর ফলে ধীরে ধীরে জমির উত্পাদন ক্ষমতা নষ্ট হয়। কয়েক বছর পরে ফসল উত্পাদনের পরিমাণ কমে যায়। এছাড়া ফসল কর্তনের ঠিক আগে কীটনাশক ব্যবহারও ফসলের গুণাগুণ নষ্ট করে। এসব বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করতে প্রশিক্ষণ দেয়া, প্রযুক্তি সহায়তা দিয়ে মানসম্পন্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ ফসল প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কাজ করবে এ উদ্যোগ। ডাইরেক্ট ফ্রেশই বাজারের দামের চাইতে বেশি দামে ওই ফসল কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি কিনে নেবে। এর মাঝে কোন ফড়িয়া কিংবা তৃতীয় পক্ষ থাকবে না। এসব ফসল ভোক্তার কাছে বিক্রি করা হবে। ডাইরেক্ট ফ্রেশ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইতিমধ্যে মানিকগঞ্জে ৯শ’ কৃষকের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সুফল মিলেছে। এনজিও কার্যক্রমের মাধ্যমেও কৃষকদের সহায়তা দেয়া হয়। কিন্তু এনজিও’র তহবিল শেষ হলে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু এটি কৃষক ও উদ্যোক্তাদের লাভালাভের ভিত্তিতে হওয়ায় এটি চলমান থাকবে বলে মনে করছে ডাইরেক্ট ফ্রেশ।
এছাড়া সমপ্রতি ডাইরেক্ট ফ্রেশ কৃষকদের লাভজনক গাভী পালনের লক্ষ্যেও কার্যক্রম শুরু করেছে। কৃষকদের ঋণসহায়তার লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিবিড়ভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। মানসম্পন্ন দুগ্ধ উত্পাদনের পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। এর বাজারমূল্য নিশ্চিত করতেও তাদের সহায়তা দেয়া হবে। উত্পাদিত এ দুধ ডাইরেক্ট ফ্রেশ নির্ধারিত দামে কিনে নেবে। ফলে দুধ বিক্রি কিংবা দামের উঠানামা নিয়ে নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা করতে হবে না। পাইলট প্রকল্প হিসেবে এ কার্যক্রমও ইতিমধ্যে মানিকগঞ্জে শুরু হয়েছে।
Source Link: http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/trade/2016/07/19/131926.html
Source: Ittefaq
Updated Date: 9th March, 2017