চর ও পাহাড়ি এলাকায় এনজিও কার্যক্রম বিশেষ নজরদারিতে
প্রকাশ | ৩০ জুলাই ২০১৬, ০০:০০ | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৬, ০০:২৩
দেশের চরাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকায় কর্মরত এনজিওগুলোর তৎপরতা বিশেষ নজরদারিতে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোকে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি অর্থায়ন রোধে এ নির্দেশনা বলে জানা গেছে।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রেড তালিকাভুক্ত এনজিওগুলোর কর্মকা-ের হালনাগাদ প্রতিবেদনও সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যুরোকে।
জানা গেছে, নির্দেশনা পাওয়ার পর এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। এ কাজে তারা স্থানীয় প্রশাসনেরও সহায়তা নিচ্ছে, বিশেষ করে জেলা ও থানা প্রশাসনের। এ ছাড়া সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও চরাঞ্চল ও পাহাড়ি অঞ্চলের এনজিওগুলোর কার্যক্রম এবং অর্থায়ন সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে।
এদিকে যেসব এনজিও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করে, তাদের মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) থেকে লাইসেন্স নিতে হয়েছে। এমআরএ থেকেও বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়নকারী সংস্থা পল্লি কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন। এ সংস্থার অর্থায়নে অনেক এনজিও চর ও পাহাড়ি অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব এনজিওর কার্যক্রমও তদারক করা হচ্ছে।
সন্দেহ করা হচ্ছে, সারা দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাঁড়াশি অভিযানের পর জঙ্গিরা দুর্গম চর বা পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছে। সেখানে তারা সংগঠিত হওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছে। এসব কাজে তারা নানাভাবে অর্থায়নও পাচ্ছে। এরই মধ্যে মানিকগঞ্জে পদ্মার ও কুড়িগ্রামে যমুনার দুর্গম চরে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এনজিও ব্যুরো থেকেও ওইসব অঞ্চলে বিশেষ টিম পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তারা সেখানে কোন কোন এনজিও কাজ করে, কী কাজ করে, কাদের ঋণ দেয়, ঋণের অর্থের উৎস কীÑ এসব খতিয়ে দেখবে।
এ বিষয়ে এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম গতকাল টেলিফোনে আমাদের সময়কে জানান, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। এনজিও ব্যুরোতে নিবন্ধিত সব এনজিওর কর্মকা-ই টেক কেয়ার করছি। যাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ আছে, তাদের বিশেষ নজরদারিতে নিয়েছি। এনজিওগুলোর হালনাগাদ রিপোর্ট সংগ্রহ আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। এটি আমরা প্রতিবছরই করে থাকি; এখনো করছি। সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠপর্যায়ে তদন্ত করে সম্প্রতি এনজিওগুলোর একটি লাল তালিকা করেছে। যাদের কার্যক্রম সন্দেহজনক, তাদেরই ওই তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি এনজিও-ও রয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে বিদেশি ১৪ এনজিওর কার্যক্রম বিশেষ নজরদারিতে এনেছে ব্যুরো। এসব এনজিওর হালনাগাদ রিপোর্ট, কতদিন থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে, জঙ্গি মদদ দিচ্ছে কিনা তা তদন্তে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি।
Source Link: https://goo.gl/41lIFC
Source: Dainik AmaderShomoy
Updated Date: 9th March, 2017