ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের নিরীক্ষণ পদ্ধতি উদ্ভাবন
লোহাগাড়া প্রতিনিধি | আপডেট: ০১:৩১, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ
সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণ ও ভাতা সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করে। গতানুগতিক পদ্ধতিতে এসব ঋণদান কার্যক্রমের নিরীক্ষণ করতে অনেক সময় ব্যয় হয়। পাশাপাশি ভুলভ্রান্তিও থেকে যায়। এই অসুবিধা দূর করতে নির্ভুলভাবে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ কার্যক্রম নিরীক্ষণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন চন্দনাইশ উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সফি উদ্দিন। তাঁর উদ্ভাবিত পদ্ধতির নাম মাইক্রোক্রেডিট ম্যাজিক ব্যালেন্স শিট, সংক্ষেপে এমএমবিএস। এই উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ গত ৩১ জুলাই সমাজসেবা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সফি উদ্দিনের উদ্ভাবিত পদ্ধতি অনুসরণ করলে সরকারের বিভিন্ন ঋণদান কার্যক্রম ও সেবামূলক কর্মসূচির নিরীক্ষণ আগের চেয়ে সহজ ও নির্ভুল হবে।
মো. সফি উদ্দিন জানান, ২০০৬ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগদান করেন তিনি। কাজে যোগ দিয়ে তিনি দেখলেন, কার্যালয়ে কাজ অনুপাতে পর্যাপ্ত জনবল নেই। এতে বিতরণ করা ক্ষুদ্রঋণ ও ভাতার হিসাব নিরীক্ষণ কঠিন হয়ে পড়েছিল। সরকারি বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নও স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। সফি উদ্দিন কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। প্রোগ্রামিংয়ের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তিনি উদ্ভাবন করেন এমএমবিএস পদ্ধতি।
সফি উদ্দিন বলেন, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ঋণ ও ভাতা হিসেবে বিতরণ করে। পরবর্তী সময়ে তার সঠিক নিরীক্ষণ করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ ছাড়া গতানুগতিক পদ্ধতিতে হিসাব-নিকাশ করতে অনেক সময় ও সরকারি অর্থের অপচয় হয়। কিন্তু তাঁর উদ্ভাবিত এমএমবিএসের মাধ্যমে নিমেষেই জটিল হিসাব মেলানো যায়। এমএমবিএস পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেকোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করা সম্ভব। সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও কর্মসূচির কতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে, তা নিরীক্ষণ করতে পারে।
সফি উদ্দিন আরও বলেন, একটি উপজেলায় সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকার ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি পরিচালনা করে। পাশাপাশি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাও দিয়ে থাকে। সমাজের দলিত মানুষজন, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায় ও চা–শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নেও সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের পেছনে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তার সঠিক হিসাব রাখতেই এ পদ্ধতির উদ্ভাবন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বন্দনা দাশ বলেন, ‘সফি উদ্দিনের এমএমবিএস পদ্ধতির আরও উন্নত সংস্করণ যাতে তৈরি করা যায়, সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিটি উপজেলায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সফি উদ্দিনের উদ্ভাবিত পদ্ধতি অনুসরণ করলে সরকারের বিভিন্ন ঋণদান কার্যক্রম ও সেবামূলক কর্মসূচির নিরীক্ষণ আগের চেয়ে সহজ ও নির্ভুল হবে।
মো. সফি উদ্দিন জানান, ২০০৬ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগদান করেন তিনি। কাজে যোগ দিয়ে তিনি দেখলেন, কার্যালয়ে কাজ অনুপাতে পর্যাপ্ত জনবল নেই। এতে বিতরণ করা ক্ষুদ্রঋণ ও ভাতার হিসাব নিরীক্ষণ কঠিন হয়ে পড়েছিল। সরকারি বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নও স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। সফি উদ্দিন কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। প্রোগ্রামিংয়ের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তিনি উদ্ভাবন করেন এমএমবিএস পদ্ধতি।
সফি উদ্দিন বলেন, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ঋণ ও ভাতা হিসেবে বিতরণ করে। পরবর্তী সময়ে তার সঠিক নিরীক্ষণ করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ ছাড়া গতানুগতিক পদ্ধতিতে হিসাব-নিকাশ করতে অনেক সময় ও সরকারি অর্থের অপচয় হয়। কিন্তু তাঁর উদ্ভাবিত এমএমবিএসের মাধ্যমে নিমেষেই জটিল হিসাব মেলানো যায়। এমএমবিএস পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেকোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করা সম্ভব। সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও কর্মসূচির কতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে, তা নিরীক্ষণ করতে পারে।
সফি উদ্দিন আরও বলেন, একটি উপজেলায় সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকার ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি পরিচালনা করে। পাশাপাশি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাও দিয়ে থাকে। সমাজের দলিত মানুষজন, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায় ও চা–শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নেও সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের পেছনে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তার সঠিক হিসাব রাখতেই এ পদ্ধতির উদ্ভাবন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বন্দনা দাশ বলেন, ‘সফি উদ্দিনের এমএমবিএস পদ্ধতির আরও উন্নত সংস্করণ যাতে তৈরি করা যায়, সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিটি উপজেলায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
Source: The Daily Prothom Alo
Updated Date: 9th March, 2017