অটোয়ায় গ্লোবাল সামিটে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও ইউনূসের বক্তৃতা

নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে অটোয়ার পার্লামেন্ট হিলে আয়োজিত ওয়ান ইয়াং ওয়ার্ল্ড সামিটে মূল বক্তৃতা প্রদান করেছেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বের ১৯৬ টির বেশি দেশ থেকে আগত ১৩০০ তরুণ নেতার সামনে জাতিসঙ্ঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পর প্রফেসর ইউনূস বক্তৃতা প্রদান করেন।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগত তরুণ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, তাদের হাতের মুঠোয় যে পৃথিবী আছে তাকে তারা ইচ্ছে করলে তাদের স্বপ্নের পৃথিবী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তিনি বলেন, তিনি এমন একটি বিশ্বের স্বপ্ন দেখছেন যেখানে দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নেমে আসবে। তিনি বলেন, এই তিনটি বিষয় অর্জন করতে হলে তারুণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক ব্যবসার শক্তিকে বড় ধরনের শক্তি মনে করতে হবে।
তিনি বলেন, তরুণেরা যে বিশ্বে বাস করতে চায়, সে বিশ্বকে গড়তে তাদের এখনই কাজ শুরু করা উচিত। বর্তমান স্বার্থপর সভ্যতা যেন দীর্ঘ স্থায়ী না হয় সেজন্য একটি নতুন সভ্যতা গড়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো তরুণদের বলেন, বর্তমান বিশ্বের তরুণ নেতারা আজ এখানে এসেছে এবং আমি আনন্দিত যে মেধাবী তরুণ নেতাদের সামিট অটোয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্য মূল বক্তা ছিলেন আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এবং জলবায়ু একটিভিস্ট মেরি রবিনসন এবং দারিদ্র্য নিয়ে কাজ করা সঙ্গীতজ্ঞ বব গেলডফ।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এই সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ছিল যাদের একজন তরুণ বাংলাদেশের পে জাতীয় পতাকা বহন করেন।
এ সম্মেলন ১৯৬টি দেশ থেকে আসা ১৮-৩০ বছরের ১৩০০ তরুণদের নিয়ে এ সপ্তাহে অটোয়াতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিন দিনের এ সম্মেলনে সারা বিশ্ব থেকে আগত তরুণ নেতারা তাদের বিভিন্ন কার্যাবলি উপস্থাপন করার পাশাপাশি বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে চলমান বৈশ্বিক ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করবেন। এটি সপ্তম ইয়াং ওয়ার্ল্ড সম্মেলন।
প্রথম সম্মেলন থেকেই প্রফেসর ইউনূস কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দিনের শুরুতে ওয়ান ইয়ং ওয়ার্ল্ডের সামিটের অংশবিশেষ একটি সামাজিক ব্যবসা ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সামাজিক ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। ৬ ঘণ্টার এ প্রোগ্রামে বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবসা, কানাডার সামাজিক ব্যবসায়ী এবং সামাজিক ব্যবসার সাথে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়ান ইয়াং ওয়ার্ল্ডের ১৩০০ ডেলিগেটদের সাথে একটি প্লানারি সেশনে দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে সামাজিক ব্যবসা কিভাবে একটি হাতিয়ার হতে পারে সে ব্যাপারে বক্তব্য তুলে ধরবেন। বিজ্ঞপ্তি।

 

 

Source Link: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/157503

Source: The Daily Nayadiganta

Updated Date: 9th March, 2017

Related Publications

Yunus Social Business Week launched in China...

Published Date: 15th October, 2015

Grameen China to set up branch in Shenzhen ...

Published Date: 16th October, 2015