বরণীয় যারা
তারেক মাহমুদ
১৯৬৬ থেকে ২০১৬। ৫০ বছর। এই দীর্ঘসময়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আলোকিত করেছেন অনেক শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক এবং পণ্ডিত। বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাও এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী। একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেনের পরশ পেয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া বিজ্ঞানী ড. জামাল নজরুল ইসলাম, ইতিহাসবিদ ড. আবদুল করিম, জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান, সাহিত্যিক আবুল ফজল, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ, চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন, সাহিত্যিক আহমদ শরীফ, শিক্ষাবিদ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাহিত্যিক আলাউদ্দিন আল আজাদ, ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, ভাষাবিজ্ঞানী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা এই আঙিনা করেছেন সমৃদ্ধ।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী এবং গোটা বিশ্বে ক্ষুদ্রঋণকে পরিচিতি দানকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করতেন। ২০০৬ সালে নোবেল পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক। ১৯৭৪ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের জোবরা গ্রামে তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে গ্রামীণ ব্যাংকে সম্প্রসারিত হয়। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি এখানে শিক্ষকতায় ছিলেন। খ্যাতনামা এই অর্থনীতিবিদ হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রথম উপাচার্য ড. এ আর মলি্লক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য আজিজুর রহমান (এ আর) মলি্লক। তিনি ছিলেন আমেরিকার পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান রিজিওনাল স্টাডিস বিভাগের প্রথম পূর্ণ অধ্যাপক। ছিলেন
বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা সচিব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একই সঙ্গে ভারত, নেপাল এবং ভুটানে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ আর মলি্লক। এ ছাড়া দেশের প্রথম টেকনোক্র্যাট অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালের শেষের দিকে আজিজুর রহমান মলি্লক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৭৬ সালে তিনি যোগ দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮৩ সালে তাকে প্রফেসর ইমেরিটাস হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সাহিত্যিক আবুল ফজল
আবুল ফজল বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। বহুমুখী সাহিত্য প্রতিভার অধিকারী আবুল ফজল সাহিত্যের সব শাখায় অবদান রেখেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তার সৃজনশীল প্রতিভা ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি তিনি লাভ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ গ্রহণের আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে। যোগ্যতা ও সম্মানের সঙ্গে উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের পর তিনি ১৯৭৫-৭৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অর্থাৎ কার্যত শিক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হন। আবুল ফজল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
মহাবিশ্বতত্ত্ববিদ ড. জামাল নজরুল ইসলাম
২০০১ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে_ এমন গুজব রটেছিল বিশ্বজুড়ে। সে সময় বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা মিশ্র অভিমত দিয়েছিলেন। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম তখন গণিতের হিসাব কষে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে জানান, প্রাকৃতিক নিয়মে সৌরজগতের সবগুলো গ্রহ এক সরলরেখা বরাবর চলে এলেও তার প্রভাবে পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হবে না। এই ভৌতবিজ্ঞানী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের 'রিসার্চ সেন্টার ফর ম্যাথমেটিকাল অ্যান্ড ফিজিকাল সায়েন্স'-এর গবেষণায় নিমগ্ন ছিলেন। ১৯৮৪ সালে ড. জামাল নজরুল ইসলাম বাংলাদেশে ফিরে এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনি একুশে পদকসহ বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। কৃতী এই বিজ্ঞানীর জন্ম ঝিনাইদহ শহরে।
প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান
বাংলাদেশ এবং বাংলা সাহিত্য_ এই দুই সত্ত্বার ইতিহাসবেত্তা অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। একদিকে ভাষা আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ অন্যদিকে রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন এই জীবন্ত কিংবদন্তি। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে অনবদ্য গবেষণার জন্য ড. আনিসুজ্জামান প্রশংসিত এপার বাংলা এবং ওপার বাংলায়। দেশের প্রখ্যাত এই শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৬৯ সালের জুন মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনি চবি ক্যাম্পাসেই অবস্থান করে মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনকে বেগবান করেন। পরে ভারতে গিয়ে প্রথমে শরণার্থী শিক্ষকদের সংগঠন 'বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি'র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
বুনন শিল্পের পথিকৃৎ রশীদ চৌধুরী
চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর রশীদ চৌধুরী ১৯৭৭ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। রশীদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অধ্যয়ন এবং চট্টগ্রাম শহরে একটি চারুকলা কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ১৯৬৮ সালে চবিতে চারুকলা বিভাগের প্রথম অধ্যাপক ও সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠাকালে প্রথম ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ত্যাগ করার পর তিনি ঢাকার মিরপুরে তাপিশ্রী কারখানা গড়ে তোলেন। চবির চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে তার সম্মানার্থে শিল্পী রশিদ চৌধুরী আর্ট গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি চট্টগ্রাম নগরীর সর্বপ্রথম আর্ট গ্যালারি।
দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী এবং গোটা বিশ্বে ক্ষুদ্রঋণকে পরিচিতি দানকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করতেন। ২০০৬ সালে নোবেল পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক। ১৯৭৪ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের জোবরা গ্রামে তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে গ্রামীণ ব্যাংকে সম্প্রসারিত হয়। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি এখানে শিক্ষকতায় ছিলেন। খ্যাতনামা এই অর্থনীতিবিদ হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রথম উপাচার্য ড. এ আর মলি্লক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য আজিজুর রহমান (এ আর) মলি্লক। তিনি ছিলেন আমেরিকার পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান রিজিওনাল স্টাডিস বিভাগের প্রথম পূর্ণ অধ্যাপক। ছিলেন
বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা সচিব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একই সঙ্গে ভারত, নেপাল এবং ভুটানে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ আর মলি্লক। এ ছাড়া দেশের প্রথম টেকনোক্র্যাট অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালের শেষের দিকে আজিজুর রহমান মলি্লক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৭৬ সালে তিনি যোগ দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮৩ সালে তাকে প্রফেসর ইমেরিটাস হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সাহিত্যিক আবুল ফজল
আবুল ফজল বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। বহুমুখী সাহিত্য প্রতিভার অধিকারী আবুল ফজল সাহিত্যের সব শাখায় অবদান রেখেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তার সৃজনশীল প্রতিভা ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি তিনি লাভ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ গ্রহণের আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে। যোগ্যতা ও সম্মানের সঙ্গে উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের পর তিনি ১৯৭৫-৭৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অর্থাৎ কার্যত শিক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হন। আবুল ফজল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
মহাবিশ্বতত্ত্ববিদ ড. জামাল নজরুল ইসলাম
২০০১ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে_ এমন গুজব রটেছিল বিশ্বজুড়ে। সে সময় বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা মিশ্র অভিমত দিয়েছিলেন। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম তখন গণিতের হিসাব কষে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে জানান, প্রাকৃতিক নিয়মে সৌরজগতের সবগুলো গ্রহ এক সরলরেখা বরাবর চলে এলেও তার প্রভাবে পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হবে না। এই ভৌতবিজ্ঞানী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের 'রিসার্চ সেন্টার ফর ম্যাথমেটিকাল অ্যান্ড ফিজিকাল সায়েন্স'-এর গবেষণায় নিমগ্ন ছিলেন। ১৯৮৪ সালে ড. জামাল নজরুল ইসলাম বাংলাদেশে ফিরে এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনি একুশে পদকসহ বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। কৃতী এই বিজ্ঞানীর জন্ম ঝিনাইদহ শহরে।
প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান
বাংলাদেশ এবং বাংলা সাহিত্য_ এই দুই সত্ত্বার ইতিহাসবেত্তা অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। একদিকে ভাষা আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ অন্যদিকে রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন এই জীবন্ত কিংবদন্তি। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে অনবদ্য গবেষণার জন্য ড. আনিসুজ্জামান প্রশংসিত এপার বাংলা এবং ওপার বাংলায়। দেশের প্রখ্যাত এই শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৬৯ সালের জুন মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনি চবি ক্যাম্পাসেই অবস্থান করে মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনকে বেগবান করেন। পরে ভারতে গিয়ে প্রথমে শরণার্থী শিক্ষকদের সংগঠন 'বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি'র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
বুনন শিল্পের পথিকৃৎ রশীদ চৌধুরী
চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর রশীদ চৌধুরী ১৯৭৭ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। রশীদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অধ্যয়ন এবং চট্টগ্রাম শহরে একটি চারুকলা কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ১৯৬৮ সালে চবিতে চারুকলা বিভাগের প্রথম অধ্যাপক ও সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠাকালে প্রথম ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ত্যাগ করার পর তিনি ঢাকার মিরপুরে তাপিশ্রী কারখানা গড়ে তোলেন। চবির চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে তার সম্মানার্থে শিল্পী রশিদ চৌধুরী আর্ট গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি চট্টগ্রাম নগরীর সর্বপ্রথম আর্ট গ্যালারি।
Source Link: http://bangla.samakal.net/2016/11/06/247400/
Source: Daily Samakal
Updated Date: 9th March, 2017