মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব রোহিঙ্গা প্রশ্নে কঠোর অবস্থান
বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিয়ন্ত থানকে তলব করে এ আহ্বান জানায়। এদিকে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে পড়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে আলোচনার জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি তাঁর এক বিশেষ দূত পাঠাচ্ছেন বাংলাদেশে। পররাষ্ট্রসচিব মো. শহিদুল হককে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলা এ তথ্য জানিয়েছে।
অন্যদিকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন দেশের ২৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে শান্তিতে নোবেলজয়ী ১০ জন, দুজন চিকিত্সাশাস্ত্রে নোবেলজয়ী ও বাকি ১১ জন বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক ও মানবাধিকারকর্মী, চলচ্চিত্রকার ও ব্যবসায়ী নেতা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি মিয়ানমারের কাছে স্পর্শকাতর হওয়ায় বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক বৈঠকগুলোতে ওই শব্দের পরিবর্তে ‘মিয়ানমারের নাগরিক’ হিসেবে অভিহিত করছে। গতকাল মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আলাপচারিতায় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দের বদলে ‘মিয়ানমারের নাগরিক’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয় ও কনস্যুলার) কামরুল আহসান মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিয়ন্ত থানকে তলব করে মিয়ানমারের নাগরিকদের দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে প্রবেশ অব্যাহত থাকার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত ৯ অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের প্রায় ৫০ হাজার নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এর বাইরে মিয়ানমারের আরো প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনেক বছর ধরে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ থেকে দ্রুত এসব নাগরিকের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার উপায় নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকার আগ্রহের কথাও তিনি জানান। একই সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরুপায় হয়ে যেন সীমান্ত পাড়ি দিতে না হয়, সে জন্য রাখাইন রাজ্যে বিদ্যমান সমস্যা বা রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ দ্রুত সমাধানের জন্যও তিনি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে নেপিডোর প্রতি অনুরোধ জানান।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের জলসীমায় একটি মাছ ধরার নৌকা লক্ষ্য করে মিয়ানমারের গুলিবর্ষণের ঘটনার বিষয়েও রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর সেন্ট মার্টিনস দ্বীপের কাছে বাংলাদেশি জলসীমায় বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা এফভি জানিভা খালেদাকে লক্ষ্য করে মিয়ানমারের একটি নৌযান থেকে অস্ত্রধারীদের গুলিতে চার বাংলাদেশি জেলে গুরুতর আহত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল আহসান মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, সশস্ত্র অস্ত্রধারীদের বহনকারী মিয়ানমারের ট্রলারটি আহত বাংলাদেশি জেলে ও তাদের নৌযানকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর যানের কাছে নিয়ে যায়। মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশি ওই জেলেদের সব কিছু কেড়ে নিয়ে চার ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত আশ্বাস দিয়েছেন, মিয়ানমারের নৌবাহিনী ভবিষ্যতে বাংলাদেশি নিরপরাধ জেলেদের ওপর কোনো আক্রমণ চালাবে না।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যুতে প্রায় এক মাসের ব্যবধানে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। গত মাসের শেষ দিকেও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছিল।
দূত পাঠাচ্ছেন সু চি : পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হককে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলা গতকাল সন্ধ্যায় বলেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি তাঁর এক বিশেষ দূতকে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন। পররাষ্ট্রসচিব বিবিসি বাংলাকে বলেন, রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা হাজার-হাজার রোহিঙ্গার অবস্থা মূল্যায়নের জন্য সু চির বিশেষ দূত শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত গতকালই ওই বিশেষ দূত পাঠানোর বিষয়টি বাংলাদেশকে জানান।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘তিনি (মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত) আমাদের বলেছেন, ওনাদের একজন স্পেশাল এনভয় (বিশেষ দূত) আসবেন। ওনারা শিগগিরই আমাদের জানাবেন, কবে আসবেন। ’
বিবিসি জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধে কোনো ভূমিকা না রাখায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো অং সান সু চির কড়া সমালোচনা করছে।
নিরাপত্তা পরিষদে খোলা চিঠি : নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে ড. ইউনূসসহ বিভিন্ন দেশের ২৩ বিশিষ্ট ব্যক্তি চিঠি লিখেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১২ জন নোবেল বিজয়ী। খোলা চিঠিতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধতুল্য একটি মানবিক বিপর্যয়’ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গত দুই মাস ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন প্রদেশে যে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে, তাতে শত শত রোহিঙ্গা নাগরিক হত্যার শিকার হচ্ছে। ফলে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে, নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, বেসামরিক মানুষকে নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে, শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, “ভয়ের ব্যাপার, মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলোকে সেখানে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে আগে থেকেই চরম দরিদ্র এই এলাকাটিতে মানবীয় সংকট ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার মানুষ নিকটবর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে, যেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ঘটনাটিকে গণহত্যাতুল্য বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নিকট অতীতে রুয়ান্ডা, দারফুর, বসনিয়া ও কসোভোয় সংগঠিত গণহত্যাগুলোর সব বৈশিষ্ট্য এখানে দৃশ্যমান। জাতিসংঘ রিফিউজি হাইকমিশনের বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান জন ম্যাককিসিক মিয়ানমার সরকারকে জাতিগত নিধন পরিচালনার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি রাখাইন রাজ্যে প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিযোগ করেছেন। ”
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গারা পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর একটি, যারা দশকের পর দশক পরিকল্পিত প্রান্তিকীকরণ ও অমানবিক আচরণের শিকার। ১৯৮২ সালে তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয় ও তাদের রাষ্ট্রহীন করে ফেলা হয়, যদিও তারা বংশপরম্পরায় মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে। তাদের চলাচল, বিয়ে, শিক্ষা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। মিয়ানমারের সরকার, সামরিক বাহিনী ও মিয়ানমার সমাজের অনেকেই এই দাবি করেন বটে, কিন্তু বাংলাদেশ তাদের তার দেশের নাগরিক বলে কোনো দিন স্বীকার করেনি। ’
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষাপট হিসেবে চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নাটকীয়ভাবে ঘনীভূত হয় ২০১২ সালে, যখন দুটি ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনায় লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয় এবং পাশাপাশি অবস্থিত মুসলিম ও বৌদ্ধ রাখাইনদের বর্ণবৈষম্যের ভিত্তিতে আলাদা করে ফেলা হয়। এর পর থেকে তারা চরম খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করে আসছে। সর্বশেষ সংকটটির সৃষ্টি হয় ৯ অক্টোবর, মিয়ানমার বর্ডার পুলিশের ওপর আক্রমণের একটি ঘটনায়, যাতে মিয়ানমার বর্ডার পুলিশের ৯ জন সদস্য নিহত হন। এ আক্রমণ কারা, কিভাবে ও কেন করল—সে সত্য এখনো উদ্ঘাটিত হয়নি। তবে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপকে এ জন্য দায়ী করছে। এই অভিযোগ যদি সত্য হয়েও থাকে, এতে সামরিক বাহিনীর প্রতিক্রিয়া একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ জন্য সন্দেহভাজনদের আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচারের মুখোমুখি করা এক জিনিস, আর হাজার হাজার নিরীহ বেসামরিক নাগরিকের ওপর হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে গুলিবর্ষণ করা, নারীদের ধর্ষণ করা এবং শিশুদের আগুনে নিক্ষেপ করা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। ’
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা বলেছেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে দেওয়া সাক্ষাত্কারে একজন রোহিঙ্গা বলেন, পলায়নরত মানুষের ওপর তারা গুলিবর্ষণ করে। তারা গ্রামটি ঘিরে ফেলে এবং ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। তারা গালাগাল করছিল এবং নারীদের ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিল। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী নারী জানান কিভাবে তাঁর দুই ছেলেকে কোনো কারণ ছাড়াই আটক করা হয়। ‘তখন সবেমাত্র ভোর হয়েছে। সামরিক লোকজন আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। কয়েকজন ঘরে ঢোকে এবং আমাকে ও আমার সন্তানদের টেনেহিঁচড়ে বাইরে বের করে আনে। তারা আমার দুই ছেলেকে বেঁধে ফেলে। তাদের পিঠমোড়া করে বাঁধা হয়, এরপর চলে বেধড়ক পেটানো। মিলিটারিরা তাদের বুকে লাথি মারে। আমার সামনেই এটা ঘটে, আমি চিত্কার করে কাঁদতে থাকি। আমি কাঁদতে থাকলে তারা (মিলিটারি) আমার দিকে বন্দুক তাক করে। আমার অন্য সন্তানরা মিলিটারিদের কাছে হাতজোড় করে তাদের না পেটাতে অনুরোধ করে। তাদের নিয়ে যাওয়ার আগে প্রায় ৩০ মিনিট এভাবে মারধর করা হয়। ’ তিনি তাঁর ছেলেদের এরপর আর দেখেননি।
খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘অং সান সু চির কাছে বারবার আবেদনের পরও তিনি রোহিঙ্গাদের পূর্ণ ও সমনাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আমরা হতাশ হয়েছি। সু চি মিয়ানমারের নেত্রী এবং দেশটিকে সাহস, মানবিকতা ও সমবেদনার সঙ্গে পরিচালনা করার দায়িত্ব তাঁরই। মিয়ানমার সরকারকে মানবিক সহায়তার ওপর সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সম্ভাব্য সব উদ্যোগ নিতে আমরা জাতিসংঘের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে মানুষ জরুরি সহায়তা পেতে পারে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদেরও সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের উদ্দেশ্যে একটি নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক তদন্ত পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন। ’
চিঠিতে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি এজেন্ডা হিসেবে সংকটটি উপস্থাপনের জন্য আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। জাতিসংঘ মহাসচিবকে জরুরি ভিত্তিতে সামনের সপ্তাহগুলোতে মিয়ানমার পরিদর্শন করতে অনুরোধ করছি। আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকেও এখন এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে। রোহিঙ্গা বিষয়ে আমরা এখনই ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে মানুষ গুলি খেয়ে না মরলেও অনাহারে মারা যাবে। তখন আমরা মানবতাবিরোধী এসব অপরাধের নীরব দর্শক হয়ে থাকব। ’
খোলা চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে বাংলাদেশি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও রয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী হোসে রামোস-হরতা, আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, মেইরিড মাগুইর, বেটি উইলিয়ামস, অস্কার অ্যারিয়াস, জোডি উইলিয়ামস, শিরিন এবাদি, তাওয়াক্কল কারমান, মালালা ইউসুফজাই। এ ছাড়া চিকিত্সাশাস্ত্রে নোবেলজয়ী স্যার রিচার্ড জে রবার্টস, এলিজাবেথ ব্ল্যাকবার্ন, ইতালির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমা বোনিনো, চলচ্চিত্রকার রিচার্ড কার্টিস, লিবীয় নারী নেত্রী আলা মুরাবিত, ব্যবসায়ী নেতা পল পোলম্যান প্রমুখ।
Source Link: http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2016/12/30/446710
Source: Kaler Kantha
Updated Date: 12th March, 2017