রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাইলেন ১৩ নোবেল জয়ীসহ ২২ বিশিষ্ট জন

 
Published : Friday, 30 December, 2016 at 12:00 AM, Count : 1
 
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিশ্বের ২২ বিশিষ্ট ব্যক্তি। গতকাল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিকে খোলা চিঠি দিয়ে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের অনুরোধ জানান তারা।
ড. ইউনূসসহ শান্তিতে নোবেল জয়ী ১১ ব্যক্তি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। শান্তিতে নোবেল জয়ী হোসে রামোস-হরতা, আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, মেইরিড মাগুইর, বেটি উইলিয়ামস, শিরিন এবাদি, অসকার অ্যারিয়াস, জোডি উইলিয়ামস, তাওয়াক্কল কারমান, লেইমাহ বোয়ি, মালালা ইউসুফজাই ছাড়াও চিকিত্সায় নোবেল পুরস্কার জয়ী স্যার রিচার্ড জে. রবার্টস ও এলিজাবেথ ব্ল্যাকবার্ন, ইতালির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রদি ও প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমা বোনিনো, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রিচার্ড কার্টিস, লিবীয় নারী অধিকার প্রবক্তা আলা মুরাবিত, দি হাফিংটন পোস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক অ্যারিয়ানা হাফিংটন, মানবাধিকার কর্মী কেরি কেনেডিসহ চার ব্যবসায়ী নেতা এতে স্বাক্ষর করেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত দুই মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক রাখাইন প্রদেশে যে সামরিক আগ্রাসন চালানো হচ্ছে, তাতে শত শত রোহিঙ্গা নাগরিক হত্যার শিকার হচ্ছে। ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ এর ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে, নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, বেসামরিক মানুষদের নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে, শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। আরও ভয়ের ব্যাপার, মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলোকে সেখানে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে আগে থেকেই চরম দরিদ্র এই এলাকাটিতে মানবীয় সঙ্কট ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার মানুষ নিকটবর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে। যেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ঘটনাটিকে গণহত্যাতুল্য বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নিকট অতীতে রুয়ান্ডা, দারফুর, বসনিয়া ও কসোভোয় সংঘটিত গণহত্যাগুলোর সকল বৈশিষ্ট্য এখানে দৃশ্যমান।
রোহিঙ্গাদের পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বলে মনে করছেন বিশিষ্ট জনরা। তারা বলেন, রোহিঙ্গারা দশকের পর দশক পরিকল্পিত প্রান্তিকীকরণ ও অমানবিক আচরণের শিকার। ১৯৮২ সালে তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয় ও তাদের রাষ্ট্রহীন করে ফেলা হয়। যদিও তারা বংশপরম্পরায় মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে। তাদের চলাচল, বিয়ে, শিক্ষা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
বিশিষ্ট জনরা বলেন, অং সান সু চির কাছে বারবার আবেদনের পরও তিনি রোহিঙ্গাদের পূর্ণ ও সম-নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আমরা হতাশ হয়েছি। সু চি মিয়ানমারের নেত্রী এবং দেশটিকে সাহস, মানবিকতা ও সমবেদনার সঙ্গে পরিচালনা করার দায়িত্ব তারই। 

 

Source Link: http://www.shokalerkhobor24.com/details.php?id=54972

Source: Sokaler Khobor

Updated Date: 8th March, 2017

Related Publications

Yunus Social Business Week launched in China...

Published Date: 15th October, 2015

Grameen China to set up branch in Shenzhen ...

Published Date: 16th October, 2015