শিশুমৃত্যুর হার রোধে উন্নতি বাংলাদেশের
ইউনিসেফের প্রতিবেদন
শিশুমৃত্যুর হার রোধে উন্নতি বাংলাদেশের
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। জাতিসংঘ শিশু উন্নয়ন তহবিলের (ইউনিসেফ) ‘বিশ্ব শিশু পরিস্থিতি প্রতিবেদন ২০১৬’-তে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে গ্রামপর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের ফলেই শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর হার ১৯৯০ সালে ছিল প্রতি হাজারে ১৪৪ জন। ২০১৫ সালে তা কমে হয়েছে ৩৮। দেড় দশকে বাংলাদেশে এক বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর হারও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ১৯৯০ সালে এ হার ছিল হাজারে ১০০। ২০১৫-তে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৩১। বাংলাদেশে এখন নবজাতকের মৃত্যুর হার ২৩।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানে (হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্লিনিক) শিশু জন্মদানের সংখ্যা ছিল মোট প্রসবের মাত্র ৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭ শতাংশে। একই সময়ে প্রসবপূর্ব সেবাগ্রহণ ৩৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এখন ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৯ শতাংশ। একই বয়সী নারীর সাক্ষরতার হার ৮৩ শতাংশ।
শিশুমৃত্যুর হার রোধের সাফল্যের পরও বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ধনী-গরিবের ব্যবধান এখনো যথেষ্ট। বাংলাদেশের ধনীশ্রেণির ৯০ শতাংশ নারী প্রসবপূর্ব স্বাস্থ্যসেবা পান। তবে সবচেয়ে দরিদ্র নারীদের মধ্যে মাত্র ৩৬ শতাংশ এ সেবা পান।
এ প্রতিবেদন-সংক্রান্ত ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বে এখন চলমান পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরোধ করা যায় এমন রোগে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৬ কোটি ৯০ লাখ শিশুর মৃত্যু ঘটবে। এ সময়ে ১৬ কোটি ৭০ লাখ শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করবে। আর এ সময়ে অন্তত ৭৫ কোটি নারীকে বাল্যবিবাহের বোঝা বহন করতে হবে।
Source Link: https://goo.gl/ArX4eb
Source: The Daily Prothom Alo
Updated Date: 9th March, 2017